প্রকাশিত: Fri, Jan 5, 2024 11:45 PM
আপডেট: Fri, Jun 13, 2025 3:47 AM

[১]পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব সিনেটে পাস

ইমরুল শাহেদ: [২] স্বতন্ত্র সিনেটর দিলাওয়ার খানের নির্বাচন পেছানোর এই প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুর্তজা সোলাঙ্গি এবং পিএমএল-এন সিনেটর আফনান উল্লা। এ সময় অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন উচ্চকক্ষের ১৪ জন সিনেটর। এই কক্ষের সদস্য সংখ্যা ১০০ জন। সূত্র: ডন

[৩] প্রস্তাবটি পাস হয়েছে শুক্রবার। এই প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি হিসেবে সামনে আনা হয়েছে উদ্বেগজনক নিরাপত্তার বিষয়টি। পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত আছে ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের এক মাস আগে নির্বাচন পিছানোর এই প্রস্তাবটি পাস হলো। 

[৪] উচ্চকন্ঠে প্রস্তাবটি পড়ার সময় দিলাওয়ার বলেন, সংবিধানে পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য এবং নির্বাচনে সব অঞ্চলের সকলের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করতে হবে। 

[৫]  দিলাওয়ার উল্লেখ করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন ঠান্ডা এলাকার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অসুবিধা সম্পর্কে তাদের আপত্তি প্রকাশ করেছেন। দিলাওয়ার খান আবহাওয়া জনিত সমস্যার পাশাপাশি জীবনের হুমকিতে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। 

[৬] তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জীবনের জন্য গুরুতর হুমকির কথা জানিয়ে দিয়েছে। যে রাজনৈতিক দলগুলো একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অধিকার প্রয়োগের কথা বলছে, তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। জেইউআই-এফ প্রধান ফজলুর রেহমান, সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য মহসিন দাওয়ার ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের উপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। 

[৭] খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলার বিষয়টিও সিনেটে তুলে ধরেন তিনি। এ দুটি প্রদেশে রাজনৈতিক জনসভার উপর হামলার আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। সম্পাদনা: ইকবাল খান